বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা গোঘাটে : পথ অবরোধে বিজেপি কর্মীরা

13th September 2020 10:50 am হুগলী
বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা গোঘাটে : পথ অবরোধে বিজেপি কর্মীরা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : ফের এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল গোঘাট রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকার একটি গাছ থেকে। মৃত এই বিজেপি কর্মীর নাম গণেশ রায় (৬০)। তার বাড়ি গোঘাটের খানাটি গ্রামে।।রবিবার  সকালে তার দেহ ঝুলতে দেখা যায়।ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় । ঘটনা স্থলে গোঘাট থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি  নিয়ন্ত্রণে আনে।পরিবারের অভিযোগ তাকে খুন করে টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে । আর এই অভিযোগের তির  শাসক দলের লোকজনের দিকেই। যদিও ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে শাসক দলের নেতৃত্ব।বিজেপি কর্মীরা গোঘাট বকুলতলার রাস্তা অবরোধ করে। মহিলারাও লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে অবরোধে সামিল । অবিলম্বে দোষীদের গ্ৰেপ্তার করতে হবে বলে অবরোধ । ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হুগলী জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব জানিয়েছেন , বিজেপি খুনের রাজনীতি কায়েম করতে চাইছে । নিজেরাই নিজেদের কর্মীদের খুন করে পায়ের তলায় মাটি পেতে চাইছে । যার দেহ উদ্ধার হয়েছে তিনি বাম কর্মী ছিলেন । কয়েকদিন আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন । তদন্ত হলেই প্রকৃত সত‍্য বের হবে । তৃণমূল এই ঘটনার সাথে কোনভাবেই যুক্ত নয় বলে সাফ জানিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি । ঘটনার জেরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে এলাকায় । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।